প্রায় দশ মাসের একটা কঠিন ও একেবারে অন্যরকম যাত্রাপথ। তবে সন্তান প্রসবের পরেই কিন্তু হাল ছেড়ে দিলে চলবে না। কারণ সদ্যোজাতর বেড়ে ওঠা নির্ভর করছে তার মায়ের উপরে। এক্ষেত্রে প্রসব-পরবর্তী সময়ে নিজেকে সর্বদা সুস্থ ও সতেজ রাখতে হবে। ডায়েটে এমন কিছু রাখা যাবে না, যা সন্তানের ক্ষতি করতে পারে। তাই প্রসব-পরবর্তী ডায়েট নিয়ে সচেতন হতে হবে। মাথায় রাখতে হবে এই বিষয়গুলি!
বডি ফ্লুইডস - এমন পানীয় দরকার, যা ফ্লুইড সমৃদ্ধ। সন্তানকে দুধ পান করানো মানে মায়ের শরীরে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত ফ্লুইডস। এক্ষেত্রে দুধ, নানা ধরনের ফলের জুস, বা ফ্রুটশেক পান করা যেতে পারে। এগুলির পাশাপাশি পর্যাপ্ত জলপানও জরুরি। চিকিৎসকদের কথায়, দিনে অত্যন্ত ৬-৮ গ্লাস জল পান করা একান্ত কাম্য।
প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার - সন্তান প্রসবের পরে নিজের স্বাস্থ্য ফেরানো খুব জরুরি। এক্ষেত্রে সব চেয়ে প্রয়োজনীয় প্রোটিন। দেহের ওজনের ভিত্তিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন নিতে হবে। যাঁদের ওজন কম, তাঁদের অতিরিক্ত প্রোটিন নিতে হবে। তবে সবার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
ফল ও সবজি - প্রতি দিনের খাবারে অত্যন্ত হাফ প্লেট ফল ও সবজি থাকতে হবে। কারণ মা ও সন্তানের শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টির জন্য ফল আর সবজি খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। এক্ষেত্রে মরশুমি ফল ও সবজির পাশাপাশি প্রোটিন ও ভিটামিন C, A-সমৃদ্ধ ফল খাওয়া যেতে পারে। ফাইবার গ্রহণের দিকেও নজর দিতে হবে। এটি হজমে সাহায্য করে।
পেরেন্টাল ভিটামিন - প্রসবের পর সন্তানের পুষ্টি, তার বেড়ে ওঠা একটা বড় বিষয়। পাশাপাশি নিজের সুস্থ থাকাটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সদ্যোজাতর স্বাস্থ্য অনেকাংশেই তার মায়ের উপরে নির্ভর করে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের পেরেন্টাল ভিটামিন ও সাপলিমেন্ট নেওয়া যেতে পারে।
অ্যালকোহল, জাঙ্ক ফুড থেকে দূরে থাকতে হবে - অল্পবিস্তর ঠিক আছে, তবে এই সময়টায় জাঙ্ক ফুড থেকে দূরে থাকাই ভালো। বিশেষ করে অ্যালকোহল ও ক্যাফেইন থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ এই সময়টায় সন্তানকে দুধ পান করান মায়েরা। আর এর উপরে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে অ্যালকোহল। তাছাড়া সদ্যোজাতর ব্রেন ডেভেলপমেন্টের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর ক্যাফেইন!
2 Comments
Helpfully
ReplyDeletegood job
ReplyDelete